 |
পুষ্টিবিদ জয়তী মুখার্জী |
আম খাবো নাকি খাবোনা? |
আম |
শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে রমজান মাসে করনীয়ঃ
এক.সেহরির সময় এমন ভারী খাবার খাওয়া উচিত না যাতে হজমে সমস্যা হয়।এই সময় প্রোটিন ও ফ্যাট ও ভারী মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করে সহজ পাচ্য খাবার খান।
দুই.ইফতারের সময় হতে সেহরির সময় পর্যন্ত ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন পানিশূন্যতা এড়ানোর জন্য।
তিন.অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, লবন,আচার,টিন জাত খাবার,লবন জাতীয় খাবার,বাদাম এগুলো পরিহার করুন।এতে রোযা রাখার সময় অতিরিক্ত পিপাসা লাগবে না।
চার.
অতিরিক্ত চিনি জাতীয় শরবতের
বদলে পানি পান করুন বেশিরভাগ সময়।
পাঁচ.ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান।খেজুর ও পানি দিয়ে ইফতার শুরু করুন।এতে শরীরে গ্লুকোজ কাজ করবে।ভাজাপোড়ার বদলে সু্্যপ, ফল,সালাদ,ছোটখাট মিষ্টি এসব দিয়ে ইফতার করুন।
ছয়.অতিরিক্ত রোদ পরিহার করুন।প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করুন।
সাত. ইফতার শুরুর আগে হালকা ব্যায়াম করা ভাল।
আট.দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুম জরুরি। এতে দিনের বেলা ক্লান্তিবোধ কম হবে।
নয়.ইফতার ও সেহরির সাথে সাথেই ঘুমাতে যাবেন না।খাবার হজম হতে সময় দিন।খাবারের কিছুক্ষণ পর ঘুমাতে যাবেন।
দশ.মনকে প্রশান্ত রাখার জন্য ধ্যান,মেডিটেশন,নামাজ আদায়,কুরআন শরীফ পড়তে পারেন।
ডাঃ ফাতেমা জোহরা
MBBS(DU), MD Psychiatry (BSMMU), FMD(USTC), DHMS(BD)
মনোরোগ, যৌনরোগ ও মাদকাসক্তি নিরাময় বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
মানসিক রোগ বিভাগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ
আম, অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুস্বাদু একটি ফল। স্বাদে, গন্ধে, বর্ণে ও পুষ্টিমানে আমের বিকল্প শুধু আম; তাই আমকে বলা হয় ফলের রাজা। আম কাঁচা, পাকা এমনকি ফ্রোজেন অবস্থায়ও খাওয়া হয়।
প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে আম থেকে আমসত্ত্ব, জুস, পিউরি, আচার, চাটনি এসবও তৈরি করা যায়। ফল হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি আইসক্রিম, বেকারি পণ্য ও কনফেকশনারিতে ও পাকা আম ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আসুন জেনে নেই আমের পুস্টি গুন সম্পর্কে
প্রতি ১০০ গ্রাম আম থেকে আমরা পাই -
*ক্যালরি-৬০
*কার্বোহাইড্রেট-১৫ গ্রাম
*প্রোটিন-০.৮ গ্রাম
*ফাইবার (আঁশ)-১.৬০ গ্রাম
*পটিসিয়াম - ১৬৮ মিলি গ্রাম
*ফলের চিনি - ১৪ গ্রাম
এছাড়াও আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, প্রো ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন ও বিভিন্ন প্রকার পলিফেনল থাকে।
আম কেন খাবেন?
-আমে উপস্থিত ভিটামিন এ, সি, ফোলেট, কে এবং বেশ কয়েকটি বি ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাডায়।
-আমের পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট এর সাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
-আমে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি, পেকটিন, পটাশিয়াম ও ফাইবার রয়েছে যা কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
-আমের ফাইবার ও পানি কোষ্টকাঠিন্য,ডায়রিয়া সহ পরিপাকতন্ত্রের অনেক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।
-আমে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে যা রাতকানা সহ চোখের ড্রাইনেস রোধ করতে সাহায্য করে।
-ত্বক ও চুলের যত্নে আম বেশ উপকারী।
কতোটুকু পরিমানে আম খাবেন?
এতো যেহেতু গুণ তাহলে পুষ্টিবিদরা কেন আম কম খেতে বা না খেতে বলে?
- ডায়েবেটিস রোগীরা বেশি আম খেলে তাদের রক্তের গ্লুকোজ হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেতে পারে।
- প্রচুর আঁশ থাকার কারণে পরিমানে বেশি খেলে অনেক সময় ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
- আমে রয়েছে ফলের চিনি ফ্রুকটোজ এবং ক্যালরী যা ওজন বৃদ্ধি করার জন্য দ্বায়ী।
আমের সুফল গুলো পেতে আপনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে এবং ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ মেনে পরিমিত পরিমান আম খাওয়া উচিত, বিশেষ করে যারা ওভার ওয়েট।
ধন্যবাদ
পুষ্টিবিদ জয়তী মুখার্জী
ডায়েট এন্ড নিউট্রিশন কনসালটেন্ট শিওরসেল মেডিকেল এক্স নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ভি.এল.সি.সি & ভাইবস হেলথ কেয়ার এম.এস.সি এন্ড বি.এস.সি ( খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ) ডি.ইউ ট্রেইন্ড ইন সি.এন.ডি (বারডেম)
চেম্বার -surecell medical Gulshan 1, Dhaka
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/Nutritionist.Jayoti
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে royal_bangla@yahoo.com