-
হেপাটাইটিস বি একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর ভাইরাস। ক্রনিক হেপাটাইটিস বি শতকরা ২০-৩০ ভাগ ক্ষেত্রে লিভার সিরোসিস বা ক্যন্সারের মত জটিল রোগ করতে পারে।
ক্রনিক হেপাটাইটিস এ আক্রান্ত ব্যক্তির কোন লক্ষন থাকে না। রক্তের HBsAg পরীক্ষার মাধ্যমে এটি আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়।
অনেকের কাকতালীয় ভাবে প্রাথমিক অবস্থায় এটি ধরা পড়ে, যেমন বিদেশ যাওয়ার প্রাক্কালে, রক্ত দানের সময়।
আবার অনেকের ধরা পড়ে অনেক বিলম্বে, যখন সিরোসিস এর মত কোন জটিলতা দেখা দেয়ায় রোগীর লক্ষণ প্রকাশ পায়।
HbsAg টেস্ট কাদের করা উচিত - প্রত্যেকের ই, নাকি নির্দিষ্ট কারো?
আসুন জেনে নিই।
-
এক
যে দেশ বা অঞ্চলে হেপাটাইটিস বি এর প্রিভেলেন্স বা প্রাদূর্ভাব ২% এর উপরে, সে দেশ বা অঞ্চলের প্রত্যেকের ( বাংলাদেশে এটি ৫.৪ %. তাই আমাদের দেশের প্রত্যেকরই এই টেস্ট করা উচিত)।
-
দুই
হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সকল সদস্যের। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি পুরুষ হলে প্রথমেই করা উচিত স্ত্রীর, আর স্ত্রীর হলে স্বামীর।
-
তিন
গর্ভবতি নারী। গর্ভবতি নারী হেপাটাইটিস বি এর বাহক হলে সন্তানের শরীরে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৪০ ভাগ। নবজাতক এভাবে সংক্রমিত হলে ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই ক্রনিক হেপাটাইটিস বি ইনফেকশন হয়। অথচ মা হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত এ তথ্য জানা থাকলে সন্তান জন্ম নেয়ার সাথে সাথেই তাকে দুটি ইঞ্জেকশন দিলে বহুলাংশে এটি প্রতিরোধ করা যায়।
-
চার
যারা অতীতে যে কোন ধরণের ইঞ্জেকশন, টিকা নিয়েছেন।
-
পাঁচ
যারা বহুগামী।
-
ছয়
ইমিউনো সাপ্রেসিভ বা যে সব ঔষধ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে, সেসব ঔষধ সেবন শুরু করার আগে।
আসুন, লক্ষণের জন্য অপেক্ষা না করে আজই রক্তের HBsAg Test করে জেনে নিই, হেপাটাইটিস বি ভাইরাস শরীরে আছে কি না।
ধন্যবাদ
ডাঃ ফয়েজ আহমদ খন্দকার
সহযোগী অধ্যাপক,
লিভার বিভাগ
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা।
চেম্বারঃ পপুলার ডায়াগনস্টিক লিমিটেড, শান্তিনগর, ঢাকা।
|