- জন্ম নিরোধক বর্জন
:
সবার আগে সর্ব প্রকার জন্ম নিরোধক ঔষধ সেবন বন্ধ করতে হবে।
-
মিলনের উপযুক্ত সময় নির্ধারণ :
ডিম্বানু তৈরি হওয়ার পর 3 দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়টি নির্ধারণ করাই সবচেয়ে কঠিন। ছবির চার্টটি ভাল করে অনুসরন করুন । আশা করি এটি বেশ সহায়ক হবে। যাদের মাসিক অনিয়মিত তাদের ক্ষেত্রে একটু কম কাজ করলেও অন্যদের ক্ষেত্রে এই চার্টটি বেশ কার্যকর। খেয়াল করৃন ডিম্নানু গঠিত হওয়া বা সবচেয়ে ফার্টাইল পিরিয়ড এসব হিসেব করতে হবে মাসিক হবার শুরুর দিন থেকে ।
-
হালকা অনুশীলন :
দম্পতির কারও বা উভয়ের অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা কমিয়ে গ্রহণযোগ্য মাত্রায় নিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া অনুশীলন শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় যা দম্পতির প্রজননশীলতা স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজন।
-
সুষম খাবার গ্রহণ :
গর্ভবতী হওয়ার পরে নয় বরং আগে থেকে সুষম খাবার গ্রহণের বিকল্প নেই। বিশেষ করে শিশুর স্নায়বিক বিকাশের জন্য গর্ভবতী মায়ের শরীরে সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল ভারসাম্যপূর্ণ ভাবে থাকা দরকার।
-
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধুমপান ও মদ্যপান বর্জন
:
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধুমপান ও মদ্যপান প্র্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই এই ধরনের নেশা অবশ্য বর্জনীয়।
- চাপমুক্ত থাকা
:
দম্পতিকে চাপ ও টেনশনমুক্ত থাকতে হবে। কোন রকম তড়িঘড়ি বা দুশ্চিন্তা করা যাবে না। সময়ে অসময়ে যেন মন খারাপ না হয় সেদিকে খেয়াল করা দরকার। মানসিক সুস্থতা একটি পূবশর্ত।
-
রোমান্টিক সময় কাটানো :
দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি কাটানোর জন্য একটু কিছুদিনের জন্য বেড়িয়েও আসতে পারেন। এসব কিছু দাম্পত্য জীবনের আনন্দ বাড়ায় এবং স্বাভাবিক গর্ভধারনকে সহজ করে তোলে।
-
এক বা দুইবারের ব্যর্থতায় হতাশ না হওয়া
:
এক বা দুইবারের ব্যর্থতায় হতাশ হবেন না। গর্ভধারনের বিষয়টি খুবই সম্ভাবনা নির্ভর । স্বাভাবিক চেষ্টায় 6 মাস থেকে এক বছর সময় লাগতে পারে ।
-
এক বছর অতিক্রান্ত হলে :
এক বছর অতিক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে পারেন। অথবা 6 বা 8 মাস পরেও ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন। মুলকথা হলো ঔষধ সেবন না করে স্বাভাবিক উপায়ে গর্ভধারনের চেষ্টা করা উত্তম। স্বাভাবিক উপায়ে গর্ভধারনের পর্যাপ্ত চেষ্টা ব্যর্থ হলে ঔষধ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে সেবন করতে হবে।
![]() |
রয়াল বাংলা ডেস্ক |
দ্রুত গর্ভবতী হওয়ার উপায় |
মা |
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট |
এক থালা বাঙালিয়ানা। আহা অমৃত |