Royalbangla
রয়াল বাংলা ডেস্ক
রয়াল বাংলা ডেস্ক

মাড়িতে ব‌্যথা বা ফুলে যাওয়া বা মাড়িতে ফোঁড়া প্রতিরোধে করণীয়

দাঁত

ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ না অন্য কোন কারণে দাঁতের গোড়ায় মাড়িতে ছোট ফুস্কুড়ি বা ফোঁড়া দেখা দিতে পারে। দাঁতের আশেপাশে যে কোন অংশে বিভিন্ন ভাবে এ রোগের সৃষ্টি হতে পারে। মুখের স্বাস্থ্যের জন্য যা একবারেই সুখকর নয়। এবং এর ফলে মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে। সাধারণত মাড়ির নরম ত্বকে জন্ম নিয়ে প্রথমে দাঁতের মুল বা গোড়ার দিকে দেখা দেয় এবং ফুলে যেতে পারে। ধীরে ধীরে সমস্যা দাঁতের উপর দিকে প্রভাব ফেলতে থাকে। এ রোগের সাধারণ কারণ সমুহ
* ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ
* আঘাতে দাঁতের ক্ষয় থেকে হতে পারে
* মাড়ির রোগ থেকে বা এনামেল এর স্বল্পতার কারণে
* দাঁত ও মুখের পরিছন্নতা ও সুস্বাস্থ্য অবস্থা বজায় রাখা
* অধিক পরিমাণে চিনি , কার্বোহাইড্রেটেড খাবার গ্রহন
রোগের লক্ষণ সমুহ * খাবার চিবানোর সময় ব্যাথা হওয়া
* ঠান্ডা ও গরম খাবার বা পানীয়তে সংবেদনশীলতা বেড়ে যাওয়া
* দাঁতের অনুভুতির পরিবর্তন হওয়া
* নিশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে
* মাড়ি অতিরিক্ত লালচে বা কালশিটে পড়ে যায়
* চোয়ালে ব্যথা হতে পার ফলে মুখ খুলতে কষ্ট হয়
* খাবার গিলতে অসুবিধা হয়
* জ্বর এবং অস্বস্তি অনুভুত হয়
মাড়িতে ফোঁড়ার সমস্যার প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে প্রতিকার
  1. ১। রসুনঃ
    মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে বলে অনেকের কাছে রসুন অপছন্দনীয় হলেও মুখের স্বাস্থ্যের জন্য রসুন দারুণ কার্যকরী ওষুধ । এটি ঔষধী গুন সম্পন্ন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা মুখমন্ডলের জীবাণু ধ্বংসে অদম্য। সতেজ রসুনের এক কোয়া মুখে নিয়ে দাঁত দিয়ে চিবোতে হবে। ব্যথা কমার আগ পর্যন্ত চিবিয়ে ফেলে দিতে হবে। এরপর উষ্ণ জল দিয়ে কুল্কুচি করে মুখ পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
    * আক্রান্ত দাঁতে ১/২ চামচ রসুনের গুঁড়ো ও ১ চিমটি লবন মিশিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। ১০ মিনিট পর ফেলে মুখ ধুতে হবে।
    * রোগাক্রান্ত দাঁত ও সংলগ্ন মাড়িতে রসুনের তেল মাখলেও দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
  2. ২। লবন পানিঃ
    সংক্রমনের কারণে মুখের অস্বস্তি ভাব কাটতে এবং জীবানুর আক্রমণ কমাতে লবন পানির বিকল্প নেই। এটি ব্যক্টেরিয়া ধরংস করে এবং ক্ষত সারিয়ে তোলে দ্রুত। * ১ গ্লাস উষ্ণ জলে ১ চা চামচ লবন মিশিয়ে পুরোপুরি গুলে ফেলতে হবে। অতঃপর তা দিয়ে কুল্কুচি করতে হএব। দিনে ৩/৪ বার ব্যবহারে ব্যথার ও অস্বস্তিতার উপশম হয়।
  3. ৩। লবঙ্গঃ
    দাঁত ও মাড়ির যত্নে লবঙ্গ একটি অব্যর্থ প্রাকৃতিক উপাদান। * পরিষ্কার এক টুকরো কাপড়ে লবঙ্গর তেল মাখিয়ে আক্রান্ত দাঁত ও মাড়ি চেপে ধরে রাখলে কয়েক মুহূর্তে ব্যথা কমে যায়।
    * একটি আস্ত লবঙ্গ মুখে নিয়ে ধীরে ধিরে কামড় দিয়ে রস বের করলেও উপশম হয়। ৩০ মিনিট চিবিয়ে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
  4. ৪। কাঁচা হলুদঃ
    ভাইরাস, ব্যক্টেরিয়া ও রোগজীবাণু প্রতিরোধী মহৌষধ হলো কাঁচা হলুদ। মুখের সমস্যার ক্ষেত্রেও উপকারী। * ১ চা চামচ কাচাহলুদ গুঁড়োতে সামান্য গরম জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। ব্রাশ করার পর আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১৫-১০ মিনিট পর পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
    * ১ গ্লাস উষ্ণ জলে ১ চা চামচ লবন ও ১/২ চামচ কাঁচা হলুদ মিশিয়ে ২ বেলা কুল্কুচি করলে মুখের স্বাথ্য ভালো থাকে।
  5. ৫। পুদিনা পাতাঃ
    বহু বছর ধরে রোগ নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে আসছে । পুদিনা পাতা বেটে রস করে আঙ্গুল এর সাহায্যে ব্যাথার স্থানে চেপে ধরে রাখলে দ্রুত মাড়ির ব্যথা কমে যায়। ক্ষত ও সারিয়ে তোলে তাড়াতাড়ি।
  6. ৬। খাবার সোডাঃ
    * ১/২ টেবিলচামচ খাবার সোডা , ১/২ কাপ পানি ও এক চিমটি লমন মিশিয়ে মুখে নিয়ে ৫ মিনিট রাখতে হবে। * এরপর ফেলে দিয়ে আবার নিতে হবে। * এরুপ ২/৩ বার করার পর উষ্ণ পানিতে মুখ পরিষ্কার করা উচিৎ।
  1. royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ‌্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট

এক থালা বাঙালিয়ানা। আহা অমৃত


আপনি জানেন কি? শারীরিক পরিশ্রমে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে?

ডা. মোহাম্মদ মাসুমুল হক,আবাসিক চিকিৎসক, ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোম
প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩০-৬০ মিনিট করে, সপ্তাহে ০৫ দিন (মোট ১৫০-৩০০ মিনিট) এমন কিছু কায়িক পরিশ্রম, যাতে হৃদ স্পন্দন বৃদ্ধি পায় ও ঘাম হয়। .........
বিস্তারিত

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কেন শারীরিক পরিশ্রম করবেন?

ডা. মোহাম্মদ মাসুমুল হক,আবাসিক চিকিৎসক, ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোম
প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩০-৬০ মিনিট করে, সপ্তাহে ০৫ দিন (মোট ১৫০-৩০০ মিনিট) এমন কিছু কায়িক পরিশ্রম, যাতে হৃদ স্পন্দন বৃদ্ধি পায় ও ঘাম হয়। ........
বিস্তারিত

ফেসলিফট

ডাঃ ইকবাল আহমেদ,সহকারী অধ্যাপক,বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ
ফেসলিফট এই শব্দটার সাথে অনেকেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন সময় ফেসলিফটের নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। এটা দেখে অনেকেই বুঝতে পারে না ব্যাপারটা কি।.......
বিস্তারিত

তীব্র এংজাইটি বা প্যানিকের সাইকোলজিক্যাল ব্যাখ্যা ও চিকিৎসা।

জিয়ানুর কবির,ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিষ্ট
নির্দিষ্ট বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উদ্দিপনা ট্রিগার করে ফলে ব্যক্তির মধ্যে বিপদ, ব্যাথা বা শারীরিক সমস্যার হুমকি অনুভব হয় (আমার ক্ষতি হবে, শারীরিক অসুস্থ হয়ে যাব......
বিস্তারিত