ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়ে হাত ও পায়ের স্নায়ু মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ রোগে পায়ে রক্তের প্রবাহ কমে যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের শতকরা ৬০-৭০ ভাগই পায়ের স্নায়ু জটিলতায় ভুগে থাকেন।
নিউরোপ্যথিতে তারা পায়ে কম শক্তি এবং ব্যথা অনুভব করেন। এতে অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায়। ফলে এসব রোগীরা অনেক ছোটখাটো আঘাত, পোড়া বা কাটাছেঁড়ার মতো সমস্যা টেরই পান না। কাজেই এ সময় পায়ের প্রতি একটু আলাদা যত্নবান হতেই হয়। নতুবা পায়ের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।
এক্ষেত্রে আমেরিকান ডায়াবেটিক এসোসিয়েশন প্রতি পাঁচজনের একজনকে হাসপাতালে পায়ের যত্ন নেওয়ার প্রতি জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি এটি ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের যত্নে এমন কিছু টিপস দিয়েছেন যা তাদের পায়ের সমস্যাসহ স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা এড়াতে সাহায্য করবে।- জেনে নিন ডায়াবেটিস রোগীরা পায়ের যত্নে করবেন যেসব কাজ-
পা পরিষ্কার রাখুন প্রতিদিন পা পরিষ্কার করুন এবং তা শুষ্ক রাখুন।এক্ষেত্রে হালকা সাবান এবং উষ্ণ গরম পানি ব্যবহার করুন। এরপর পা ভালোভাবে শুকিয়ে লোশন লাগান।
প্রতিদিন পা পরীক্ষা করুন
সময় করে প্রতিদিন পা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। পা কেটে গেল কি না, পায়ে লালচে দাগের উদয় ঘটল কি না, খোসপাঁচড়ার সংক্রমণ ঘটল কি না সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। প্রয়োজনে পায়ের নজরদারির জন্য আয়না ব্যবহার করুন।
আর্দ্রতা বজায় রাখুন
নিয়মিত লোশন ব্যবহারে পায়ের আর্দ্রতা বজায় থাকে। কাজেই পায়ের যত্নে এটি নিয়মিত ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
নখ কাটার সময় সতর্ক থাকুন
পায়ের নখ কাটার সময় কোন অংশ যাতে কেটে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। এছাড়া যে ব্লেড বা নেইল কাটার ব্যবহার করবেন তা অবশ্যই পরিষ্কার রাখুন তা না হলে ইনফেকশন হতে পারে। তবে নখ খুব ছোট করে না কাটাই ভালো।
ভালোমানের জুতা ব্যবহার করুন
কখনই খালি পায়ে হাঁটবেন না। হাঁটার সময় অবশ্যই।ভালোমানের জুতা ব্যবহার করুন। আর জুতাগুলো যাতে পায়ের মাপমতো হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। নতুবা পায়ের ক্ষতি হতে পারে।
নরম মোজা ব্যবহার করুন
ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের মোজা সুতি বা উলের হলে বেশি ভালো হয়। তবে খেয়াল রাখবেন-মোজার উপরদিকের রাবার যেন খুব বেশি টাইট না হয়। এতে পা সুরক্ষিত থাকবে।
পায়ের রক্ত সঞ্চালনের দিকে খেয়াল রাখুন
কখনোই একনাগাড়ে বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না। পা কে নড়াচড়ার সুযোগ করে দিন। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ পর পর হাঁটার চেষ্টা করুন। এতে পায়ের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকার পাশাপাশি পায়ের নানা ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হবে।
ব্যায়ামের সময় সতর্ক থাকুন
আরামদায়ক জুতা পরে হাঁটতে যান এবং কাজ করুন। তবে জুতা খুলে রেখে কখনই কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন না।
ছোট সমস্যাতেও সতর্ক হোন
পায়ের ছোটখাট যে কোন ধরনের সমস্যা বিশেষ করে ক্ষত, পুড়ে যাওয়া, কাটা প্রভৃতি অবহেলা করবেন না। সঙ্গে সঙ্গেই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তবে পায়ে কখনই হিটিং প্যাড ব্যবহার করবেন না। এতে পায়ের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
লেখক
ডাঃ আয়েশা রাইসুল (গভঃ রেজিঃ H-১৫৯৮)
বি.এইচ.এম.এস (ঢাঃ বিঃ), এক্স-হাউজ ফিজিসিয়ান
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল।
চেম্বারঃ
খান ক্লাসিকেল হোমিওপ্যাথি।
উওর কাজীপাড়া,মিরপুর, ঢাকা।
হেল্পলাইনঃ 01916-023571, 01976-023572 (রিসিপসন)।
www.facebook.com/Dr.AyeshaRaisul.B.H.M.S