-
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগন যেখানে অতি সাফল্যের সাথে লাখ লাখ মহিলাদের জরায়ুর টিউমারকে কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই ঔষধের মাধ্যমে নিশ্চিতরূপে, চিরতরে নির্মূল করতে সক্ষম , সেখানে জরায়ুর টিউমার সারাতে বিপদজনক, ক্ষতিকর এবং প্রায় অনিশ্চিত অস্ত্রোপচার বা অপারেশন করাটা এই আধুনিক যুগে বোকামি ছাড়া আর কিছুই না। তাই আর অপারেশন নয়, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় জরায়ুর টিউমার সারানোর চিকিৎসা একেবারেই সাধারণ ব্যাপার।
জরায়ু হলো মেয়েদের আভ্যন্তরীন অত্যন্ত গুরুত্বপূরর্ণ প্রজনন অঙ্গ। একে আমরা ইউটেরাস বলি। একটি মেয়ে যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়, তখন প্রতিমাসে ঋতুস্রাব হয়। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে গিয়ে যখন স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকে, তখন জরায়ুর প্রধান কাজ হয়ে থাকে গর্ভধারণ। এর বাইরে যখন জরায়ুতে নতুন করে কোনো কিছুর বৃদ্ধি হয়, নতুন কোনো একটি মাংস পিণ্ড তৈরি হওয়া—একেই বলি টিউমার।
ইহা উৎপত্তির কারন অজানা। বন্ধ্যানারী এবং দুই একটি সন্তানের জননীদের মধ্যেই এর প্রাদুর্ভাব বেশী দেখা যায়।
জরায়ুর টিউমারের লক্ষন:-
অনেক মহিলা কোনও উপসর্গ অনুভব করেন না এমনকি যদিও তাঁদের জরায়ুতে ফাইব্রয়েড রয়েছে। যাই হোক, অন্যান্য মহিলাদের ক্ষেত্রে, জরায়ু-সংক্রান্ত ফাইব্রয়েডগুলি অস্বস্তিকর বা বেদনাদায়ক উপসর্গ ঘটাতে পারে, যেমনঃ
-
এক
রজঃস্রাব বা মাসিকগুলির মধ্যবর্তী কালে রক্তপাত (মেট্রোরেজিয়া বা জরায়ু থেকে অস্বাভাবিক, দীর্ঘস্থায়ী এবং অনিয়মিতভাবে হওয়া অত্যধিক রক্তপাত, স্পটিং বা মহিলাদের নিয়মিত মাসিকের সময়ের বাইরে অপ্রত্যাশিত রক্তপাত অথবা স্বাভাবিক মাসিকের সময় ছাড়া মধ্যবর্তী সময়ে রক্তপাত হিসাবে পরিচিত)।
-
দুই
অত্যধিক রক্তপাত অথবা বেদনাদায়ক রজঃস্রাব ।
-
তিন
অ্যানিমিয়া অর্থাৎ, রজঃস্রাব বা মাসিকের সময় অত্যধিক রক্তপাতের কারণে হিমোগ্লোবিন বা লোহিত (লাল) রক্তকোষগুলির হ্রাস (কম হওয়া)।
-
চার
মূত্রথলির উপরে ফাইব্রয়েডের চাপ দেওয়ার দ্বারা ঘটা চাপের কারণে প্রস্রাবের বর্ধিত পুনরাবৃত্তি।
-
পাঁচ
পিঠের নীচের অংশে ব্যথা।
-
ছয়
অসুবিধাজনক মল বা পায়খানার নড়াচড়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য।
-
সাত
পেটে (তলপেট) “ভরাভাব”-এর একটা অনুভূতি। কোনও কোনও সময় এটাকে “পেলভিক প্রেসার”ও বলা হয়।
-
আট
যৌনমিলন কালীন ব্যথা।
জরায়ুর ফাইব্রয়েডের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধের নাম ও নির্বাচক লক্ষণ :
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত সদৃশ ঔষধ সমুহ :
সিকেলিকর, এসিডনাই, গ্রাফাইটিস, থুজা, আর্সেনিক, অরামমেট, বেলেডোনা, ক্যালকেরিয়া আয়োড, ক্যাডমিয়ামসাল্ফ, ক্যালকেরিয়া কার্ব, কার্বোএনিমেলিস, চায়না, ক্লিমেটিস, কোনিয়াম, ক্রিয়োজোট, আয়োডিয়াম, ল্যাকেসিস, লাইকোপোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, মার্কসল, মিউরেক্স, ফসফরাস, রেডিয়ামব্রোমাইড, সিপিয়া, সাইলেসিয়া, সালফার, হ্যামামেলিস, হাইড্রাসটিস, ইত্যাদি।
-
ক
ক্যালকেরিয়া আয়োডঃ-
ইহা সর্বপ্রকার টিউমারে ব্যবহৃত হইয়া থাকে।অধিক মাত্রায় এবং অনেক দিন ধরিয়া স্হায়ী ঋতুস্রাব,শ্বেত প্রদর জরায়ুতে কড়াভাব এবং লালাযুক্ত ঋতুস্রাব ইত্যাদি লক্ষণে উপযোগী।
-
খ
সিকোলি করঃ
টিউমারের সহিত বহুদিন স্হায়ী মাসিক স্রাব,পেটের মধ্যে ছুরি দিয়া কাটার মত বেদনা।ময়লা দুর্গন্ধ যুক্ত রক্তস্রাব,ময়লাযুক্ত প্রদর স্রাব ইত্যাদি লক্ষণে উপযোগী।
-
গ
নাইট্রিক এসিডঃ-
ছোট ছোট বালির মত টিউমার রক্তস্রাব,জরায়ুর গ্রীবার শোথ হলদে রং এর প্রদর স্রাব,যোনী জ্বালা ও চুলকানি, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ ইত্যাদি লক্ষণে উপযোগী।
-
ঘ
গ্রাফাইটিসঃ-
জরায়ুতে ফুল কফির মত টিউমার,জরায়ু,যোনী ও পীঠে প্রসব বেদনার ন্যায় সাংঘাতিক বেদনা।
-
ঙ
থুজাঃ-
ফুল কফির মত টিউমার,সঙ্গমের সময় বেদনা প্রস্রাবের সময় চুলকানি।শরীরে আচিল থাকিলে অধিক উপযোগী।
-
চ
অরাম মেটঃ-
রোগী মানসিক অবসাদগ্রস্ত আত্বহত্যার চিন্তা করিতে থাকে।জরায়ুতে কর্কট সহ জরায়ুর টিউমার থাকিলে এই ঔষধ বিশেষ উপযোগী।
এছাড়াও আরও অসংখ্য ঔষধ লক্ষন সাদৃশ্যে ব্যবহার করা হয়।
ক্ষতিকর অপারেশনের পেছনে ছুটাছুটি না করে আপনার সব ডাক্তারি রিপোর্টগুলি সাথে নিয়ে ভালো এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে কথা বলুন এবং চিকিৎসা নিন।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করবেন না।
ধন্যবাদ ডাঃ আয়েশা রাইসুল (গভঃ রেজিঃ H-১৫৯৮)
বি.এইচ.এম.এস (ঢাঃ বিঃ), এক্স-হাউজ ফিজিসিয়ান
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল।
চেম্বারঃ খান ক্লাসিকেল হোমিওপ্যাথি।
উওর কাজীপাড়া,মিরপুর, ঢাকা।
হেল্পলাইনঃ 01916-023571, 01976-023572 (রিসিপসন)
ডাঃ আয়েশা রাইসুল (গভঃ রেজিঃ H-১৫৯৮) |
জরায়ুর টিউমার হোমিও চিকিৎসায় ভাল হতে পারে ? |
হোমিও |
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট |
দাঁতের যত্ন বাড়িতেই |