Royalbangla
পুষ্টিবিদ জয়তী মুখার্জী
পুষ্টিবিদ জয়তী মুখার্জী

করোনায় ফুসফুস কে ভালো রাখবেন কি করে?

ফুসফুসের যত্ন

ফুসফুস আমাদের জন্য একটি অপরিহার্য অঙ্গ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যেহেতু ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, তাই এটি ভালো রাখতে আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকা দরকার। চলুন জেনে নেই কিভাবে ফুসফুসকে ভালো রাখতে পারেন :

১. সবার আগে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ ধূমপায়ীদের করোনা হলে ফুসফুসের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই অনেকদিন ধরে যারা ধূমপান ছাড়ার কথা ভাবছেন, তাদের জন্য এটাই ভালো সময়।

২. এছাড়া যে জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো বাতাসের কোয়ালিটি। আপনি যে এলাকায় বাস করেন সেখানকার বাতাস কি রকম তার উপর আপনার ফুসফুসের স্বাস্থ্য অনেকটা নির্ভর করবে। ওই এলাকায় অনেক বেশি শিল্পকারখানা থাকলে বা বাতাসে ধুলাবালি ও সিসার পরিমাণ বেশি থাকলে তা ফুসফুসের ক্ষতি করে। তাই কোন কারণে এ রকম কোন এলাকায় গেলেও ভারি সুরক্ষাযুক্ত মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

৩. আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শরীরের ভঙ্গী। বসা, দাঁড়ানো বা হাঁটার সময় ঝুঁকে থাকলে বা কুঁজো হয়ে থাকলে তা ফুসফুসের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। সেজন্য যতটা সম্ভব সোজা হয়ে বসা বা দাঁড়ানোর অভ্যাস করলে তা ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

lungs tips in corona

এবার চলুন জেনে নেই ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখার কিছু টিপস

প্রতিদিন আট থেকে দশ মিনিট বিভিন্ন ধরনের স্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (ব্রীদিং এক্সারসাইজ) করলে তা ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

কিছু খাবার আছে যেগুলো ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। যেমনঃ কাঁচা রসুন। প্রতিদিন এক-দুই কোয়া কাঁচা রসুন খেলে তা ফুসফুসের উপকার করবে। তবে, কখনই এক থেকে দুই কোয়ার বেশি খাওয়া যাবে না।

এছাড়া ফুসফুস ভালো রাখার জন্য জরুরি হলো তরল জাতীয় খাবার। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস, ডাবের পানি, আদা চা, লেবু চা, মসলা চা ইত্যাদি খেতে হবে।

এর সাথে বেশি বেশি করে শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। যত বেশি রঙিন শাকসবজি ও ফল খাওয়া হবে ফুসফুস তত ভালো থাকবে কেননা এগুলোতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

সবশেষে, প্রতিদিন এক থেকে দেড় মিনিট জোরে জোরে হাসার চর্চা করতে হবে। অট্টহাসি ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

ধন্যবাদ
পুষ্টিবিদ জয়তী মুখার্জী
ডায়েট এন্ড নিউট্রিশন কনসালটেন্ট শিওরসেল মেডিকেল এক্স নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ভি.এল.সি.সি & ভাইবস হেলথ কেয়ার এম.এস.সি এন্ড বি.এস.সি ( খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ) ডি.ইউ ট্রেইন্ড ইন সি.এন.ডি (বারডেম)
চেম্বার -surecell medical Gulshan 1, Dhaka
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/Nutritionist.Jayoti

  1. royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ‌্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট

এক থালা বাঙালিয়ানা। আহা অমৃত


.

করোনা প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধকারী খাবার কোনগুলো?


রয়াল বাংলা ডেস্ক
.

করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভঃ করোনা ভাইরাস বা কভিড 19 প্রসঙ্গে যেসব কথা আমাদের সবার জানা প্রয়োজন


ডায়েটিশিয়ান ফারজানা
.

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কি খাওয়া উচিত?


পুষ্টিবিদ জয়তী মুখার্জী
.

করোনার ২য় ঢেউ মোকাবিলা করবেন কিভাবে ?


ডায়েটিশিয়ান ফারজানা
.

করোনার নতুন করে সংক্রমনে: প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধী খাবারের তালিকা ও লাইফস্টাইল


পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
.

লকডাউনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে ভাল থাকবেন কিভাবে?(১ম পর্ব)


Dietitian Shirajam Munira
.

লকডাউনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে ভাল থাকবেন কিভাবে?(২য় পর্ব)


পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
.

করোনা মহামারি: দীর্ঘ মেয়াদে যা করতে হবে


নুসরাত জাহান,ডায়েট কনসালটেন্ট
.

করোনায় ওজন নিয়ে আর নাই চিন্তা (শেষ পর্ব)


পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
.

করোনা প্রতিরোধে সুখবর আনলো ভিটামিন ডি


নিউট্রিশনিস্ট সুমাইয়া সিরাজী

আপনি জানেন কি? শারীরিক পরিশ্রমে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে?

ডা. মোহাম্মদ মাসুমুল হক,আবাসিক চিকিৎসক, ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোম
প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩০-৬০ মিনিট করে, সপ্তাহে ০৫ দিন (মোট ১৫০-৩০০ মিনিট) এমন কিছু কায়িক পরিশ্রম, যাতে হৃদ স্পন্দন বৃদ্ধি পায় ও ঘাম হয়। .........
বিস্তারিত

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কেন শারীরিক পরিশ্রম করবেন?

ডা. মোহাম্মদ মাসুমুল হক,আবাসিক চিকিৎসক, ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোম
প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩০-৬০ মিনিট করে, সপ্তাহে ০৫ দিন (মোট ১৫০-৩০০ মিনিট) এমন কিছু কায়িক পরিশ্রম, যাতে হৃদ স্পন্দন বৃদ্ধি পায় ও ঘাম হয়। ........
বিস্তারিত

ফেসলিফট

ডাঃ ইকবাল আহমেদ,সহকারী অধ্যাপক,বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ
ফেসলিফট এই শব্দটার সাথে অনেকেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন সময় ফেসলিফটের নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। এটা দেখে অনেকেই বুঝতে পারে না ব্যাপারটা কি।.......
বিস্তারিত

তীব্র এংজাইটি বা প্যানিকের সাইকোলজিক্যাল ব্যাখ্যা ও চিকিৎসা।

জিয়ানুর কবির,ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিষ্ট
নির্দিষ্ট বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উদ্দিপনা ট্রিগার করে ফলে ব্যক্তির মধ্যে বিপদ, ব্যাথা বা শারীরিক সমস্যার হুমকি অনুভব হয় (আমার ক্ষতি হবে, শারীরিক অসুস্থ হয়ে যাব......
বিস্তারিত