গর্ভসধারন বা সন্তান জন্মদান পারিবারিক জীবনের সবচেয়ে মধুর উপলক্ষ। বিবাহিত জীবনের পূর্ণতা আসে সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে । কিন্তু সুস্থ ও স্বাভাবিক সন্তান জন্মদান করার জন্য চাই কিছু পরিকল্পনা ও সতর্কতা । আসুন জানা যাক।
- সুষম খাবার গ্রহণ
একটি সুস্থ, স্বাভাবিক ও জন্মগত ত্রুটিমুক্ত শিশু জন্মদানের পূর্বশত হলো সুষম খাবার গ্রহন। একজন সাধারণ বিবাহিত নারী ও গর্ভবর্তী নারীর ডায়েট প্ল্যান কখনও এক নয়। গর্ভধারণ করার পূর্বেই সেজন্য একটি পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। নিষেকের সময় থেকেই সুষম খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এজন্য একটি সুষম খাবার এর চাট তৈরি করা যেতে পারে।
- দরকারি পরিপুরক বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ
বিশেষ করে জিঙ্ক ও ফলিক এসিড সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিৎ। কারও কারও ক্ষেত্রে ভিটামিন ও মিনারেল এর ঘাটতি থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
- মুখরোচক জাঙ্ক ফুড
মুখরোচক জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে একদম বিরত থাকতে হবে । বাইরের খাবারের চেয়ে অবশ্যই হোমমেড খাবারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। চিপস, কড়া ভাজা খাবার, রাস্তার খাবার যেমন ঝাল চানাচুর, বাদাম মাখা প্রভৃতি এড়িয়ে চলতে হবে।
- হালকা অনুশীলন
হালকা অনুশীলন শরীরের মেটাবলিজম ঠিক রাখতে সহায়ক। ভারী কাজ এড়িয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করে যেতে হবে । হালকা হাটাহাটি বা চলাফেরা চালিয়ে যেতে হবে।
- পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার স্বাভাবিক বিকাশের জন্য মায়ের পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম এর কোন বিকল্প নেই। এজন্য গর্ভবতী নারীর কর্মস্থলে কাজের ফাঁকে বিশ্রাম করার ব্যবস্থা থাকা দরকার। পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য রাত দশটার মধ্যে শোবার অভ্যাস করা যেতে পারে।
- চাপ ও টেনশন মুক্ত থাকা
গর্ভবতী নারীকে চাপ ও টেনশন মুক্ত রাখতে পরিবার ও কমস্থলের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। মানসিক চাপ ও টেনশন নানা ধরনের জটিলতা তৈরি করে।
- প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপান থেকে বিরত থাকা
প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপান থেকে বিরত থাকা আবশ্যক । বিশেষত পরিবারের কাছের কেউ যেমন স্বামী বা অন্য কেউ ধুমপান করলে তার থেকে দূরে থাকতে হবে।
- ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন
গর্ভাবস্থায় অবশ্যই কোন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে এবং ডাক্তার এর পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করা যাবে না। এছাড়াও
গর্ভকালীন ডায়বেটিস
আছে কিনা জেনে নিন।
|