প্রবীণ ব্যক্তি বলতে সাধারণত ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বোঝানো হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে দেশে প্রবীণ জনসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি।
কারণঃ
বয়স এবং অসুস্থতা মানুষের আচরণকে বদলে দিতে পারে।অনিদ্রা,অবহেলা ,অর্থসংকট,একাকীত্ব, আপনজনের মৃত্যু, দীর্ঘকালীন শারীরিক ও মানসিক রোগ ইত্যাদি কারণে ব্যক্তি প্রায়শই আক্রমনাত্মক আচরণ করতে পারে।
করণীয়ঃ
১.তাদের ক্রোধের মূল কারণটি সনাক্ত করার চেষ্টা করুন। কেন তা ট্রিগার হয়েছিল তা বোঝার চেষ্টা করুন।
২. এই পরিস্থিতিতে কিভাবে তাদের সাথে আচরণ করতে হবে তা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে যাতে আপনি পরিস্থিতি খারাপ করে না দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন।

৩.তর্ক না করে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন।তারা কি বলে শুনুন,তাদের অনুভূতিগুলির সাথে একমত প্রকাশ করুন।তাদের এই আচরণটি অন্যভাবে প্রকাশ করতে পারেন কিনা সেই চেষ্টা করুন।যদি এটি কাজ না করে, তবে কিছুক্ষণের জন্য নিজেকে সরিয়ে রাখুন।
৪.শান্তভাবে কথা বলুন,সহজ বাক্য ব্যবহার করুন। কোনও ইতিবাচক কাজ করুন যা তারা করতে পারে, যেমন একটি পুরানো স্মৃতি যা তাদের আনন্দ দেয়। তাদের আক্রমণাত্মক আচরণটি ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করবেন না।
৫.গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রবীণদের আক্রমণাত্মক আচরণ কমাতে এবং শান্ত করতে গান শোনানো সাহায্য করে।
৬.তাদের কোন শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা থাকলে তা চিকিৎসা করুন।প্রয়োজনীয় ওষুধ, কাউন্সিলিং সেইসাথে নিয়মিত ফলোআপ করুন।
৭.পরিবারের সদস্যদের যারা দেখাশোনা করেন তাদের কোন মানসিক শারীরিক সমস্যা যদি প্রবীণদের দেখাশোনা করতে গিয়ে হয়ে থাকে তাহলে তার চিকিৎসা করুন।
ডা. ফাতেমা জোহরা
MBBS(DU), MD Psychiatry (BSMMU), FMD(USTC), DHMS(BD)
মনোরোগ, যৌনরোগ ও মাদকাসক্তি নিরাময় বিশেষজ্ঞ
সহকারী অধ্যাপক
মানসিক রোগ বিভাগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/Dr-Fatema-Zohra-Psychiatrist-Specialist-in-Family-Medicine-293734764582169/