-
বাজারে প্রচলিত অনেক ধরনের টুথব্রাশই আছে। আমরা হিমসিম খেয়ে যাই কোনটা রেখে কোনটা কিনব। “জিনিস যেটা ভালো,তার দাম একটু” এ তথ্যটি অন্তত এ ক্ষেত্রে খাটেনা। একটি ভালো টুথব্রাশ আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেমন কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারে, তেমনি একটি নিম্ন মানের টুথব্রাশ আপনার স্বাস্থ্য হানির কারন হতে পারে।সৃষ্টি করতে পারে দন্ত ক্ষয় রোগ, মাড়ির প্রদাহ সহ বিভিন্ন রোগ।
টুথ ব্রাশ কেনার পূর্বে লক্ষণীয় বিষয়ঃ
-
এক
ব্রাশের সাথে ‘হাইজেনিক ক্যাপ’ আছে কিনা, একটি প্লাস্টিকের তৈরি আবরণ যা ব্রাশের ফিলামেন্ট গুলুকে ঢেকে রাখে।
-
দুই
ব্রাশের ফিলামেন্টগুলো অবশ্যই নরম হতে হবে। ‘Hard Brush’ শক্ত টুথব্রাশ মাড়ির প্রদাহ ও দন্ত ক্ষয় রোগের অন্নতম প্রধান কারণ।। দীর্ঘদিন এটি ব্যবহার করলে ‘Gingival Recession’ বা দাঁতের মাড়ি নিচের দিকে নেমে যাওয়া, দাঁত শির শির করা সহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ সমস্যাগুলোর চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল
-
তিন
টুথব্রাশের “Neck” বা ঘাড় এটি সোজা হলেই ভালো হয়। এটি বাঁকানো বা হেলানো, এগুলো খুব একটা কাজে লাগেনা।
-
চার
‘Handle’ বা যে স্থানটি ধরে আমারা ব্রাশ করি। যে ‘Handle’ টি সহজেই হাতের মুঠোয় আসে, সেটাই ভালো।
-
পাঁচ
ছয় সপ্তাহ পর আপনার ব্রাশটি ফেলে দিবেন। সাধারণত দেখা যায় ছয় সপ্তাহের ভেতর ব্রাশের ফিলামেন্টগুলো ফেটে যায়। ব্যাটারি চালিত ব্রাশের কার্যকারীতা অনেক বেশি, তবে এটি সহজ লভ্য নয়।
অবশ্যই ছয় মাস অন্তর অন্তর “BMDC-Registered” ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিবেন।
ধন্যবাদ
Fahmi Dental Surgery
রয়াল বাংলা ডেস্ক |
আপনি যে টুথব্রাশ টি ব্যবহার করছেন সেটি স্বাস্থ্য সম্মত তো? |
দাঁতের যত্ন |
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট |
দাঁতের যত্ন বাড়িতেই |