-
সাধারণত সলিড খাবার দেওয়ার কিছুদিন পর,আবার তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি দেখা যায়।
বাচ্চাদের ডেইলী অন্তত ১-২ বার নরমাল টয়লেট না হলে বা ইচ্ছাকৃত ভাবে মলত্যাগ না করতে চাইলে বুঝতে হবে তা কোষ্ঠকাঠিন্য ( Constipation /Irregular bowel movement) এর দিকে যাচ্ছে।
কিছু বাচ্চার ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রম দেখা যায়,যেমন : এক দিন পর পর টয়লেট হয়,অনেক সময় এটাও স্বাভাবিক ধরা যায়।
তবে এর সাথে যদি বাচ্চাদের পেটে ব্যাথা,শক্ত হয়ে পেট ফুলে থাকা,ক্ষুধা না লাগা, খাবারে অনিহা, বমিটিং,ওজন কমে যাওয়া এই লক্ষণগুলো দেখা যায়,তবে বুঝতে হবে বাচ্চা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে।
শিশুর কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রোধে করনীয়
-
এক
শিশুদের খাদ্যতালিকায় আঁশ জাতীয় খাবার রাখুন।কচুশাক, কলমিশাক, লাউ,ঢেড়শ পুঁইশাক, মুলাশাক, ডাঁটাশাক,আলু শাক এগুলোতে ভালো পরিমাণে আশ পাওয়া যায়।
-
দুই
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পানি পান করানো আবশ্যক।কিছু বাচ্চা খাবার খায় ঠিকই কিন্তু পানিতে অনিহা,তাদের ব্যাপারে সচেতনতা আবশ্যক। পানির পাশাপাশি শরবত, পাকাকলার শেক,বেলের জুস,পাকা আম/ তাজা ফলের জুস বা স্যুপ খাওয়ানোর অভ্যাস কোষ্টকাঠিন্য কমাতে সহায়তা করে।
-
তিন
বাচ্চাদের পছন্দের খাবারের তালিকায় থাকে জাংকফুড, ফাস্টফুড, ভাজাপোড়া খাবার।বাচ্চাদের হজমশক্তি বড়দের মতো প্রখর না হওয়ায়, এইসব খাবার পরিপাকে সমস্যা হয়, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়। তাই যতটা সম্ভব বাচ্চাদের ঘরে বানানো সহজপাচ্য খাবারে অভ্যস্ত করা ভালো।
-
চার
কিছু বাচ্চা কৌটার দূধ,গুড়া দুধ আর দুধে বানানো খাবার,মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে অনেক পছন্দ করে ফলে অন্য খাবার বিশেষ করে আঁশ জাতীয় খাবার, ফল সবজি খেতে চায়না। তাদের ব্যাপারে বিশেষ সচেতনতা আবশ্যক।গরুর দুধ গুরুপাক খাদ্য হওয়ায় তা সহজে হজম করতে পারে না। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়।কাজেই দুধের সাথে অন্য সব খাবার বাচ্চাদের রেগুলার খাবারের তালিকায় যুক্ত করতে হবে।
-
পাঁচ
যেকোন মেডিসিন অবশ্যই ডক্টর এর সাথে কথা বলে খাওয়াবেন। জ্বর,ঠান্ডা বা যেকোন রোগের জন্য মেডিসিন খাওয়ানোর পর যদি মনে হয় ঔষধের জন্য এমন হচ্ছে তবে দেরী না করে মেডিসিন দেওয়া বন্ধ করুন আর যত আর্লি পসিবল ডক্টর দেখান।
-
ছয়
যদি মনে হয় কষা টয়লেট হচ্ছে রাতে খাবার পর, সামান্য ইসুপগুলের ভূষি দুধে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন
-
সাত
সহজে হজম করতে পারেনা এমন খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
-
আট
বাচ্চাদের শারিরীক পরিশ্রম, টুকটাক হাটাহাটি, খেলাধুলায় উৎসাহিত করা উচিত।রেগুলার ১-২ বার টয়লেটের অভ্যাস করালে কনষ্টিপেশন হবার ভয় থাকেনা।
-
নয়
কোষ্ঠকাঠিন্যে হলে-বিভিন্ন আশযুক্ত খাবার,ফল ও সবজি যেমন-কলমিশাক,মিষ্টি আলুর শাক, ডাটাশাক,পুইশাক, পেঁপে রান্না /পাকা , লাউ, মিষ্টিকুমড়া, ঢেঁড়স,সাগু, তাজা ফলের জুস বা স্যুপ ,পাকা কলা দিয়ে তৈরী মিল্কশেক, বেলের শরবত মাঝে মাঝ কম করে , পাকা আমের জুস, ইসুপগুলের ভুসি খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করুন।
-
দশ
টয়লেট ইরেগুলার,ব্যথা, রক্ত যাওয়া -মোটকথা কনষ্টিপেশন হয় না এমন বাচ্চা নেই। কাজেই বাবা- মায়ের উচিৎ বাচ্চার খাবারের প্রতি সচেতন হওয়া - আশযুক্ত খাবারের সাথে পানি পানের অভ্যাস আর খেলাধুলা /টুকুটাক মুভমেন্টের মতো শারীরিক পরিশ্রম করছে কিনা,তার দিকেও খেয়াল রাখা জরুরী। যদি খাবারে কাজ না হয় দেরী না করে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে।
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের বিশেষ যত্ন আর সচেতনতা এই সমস্যার প্রধান সমাধান। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন
ধন্যবাদ
নিউট্রিশনিস্ট সাদিয়া স্মৃতি
চেম্বার এড্রেস এবং সময় চেম্বার-1 মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস। রবিবার এবং বুধবার ( সকাল ১০.৩০-১.৩০) ৬/৯, আউটার সার্কুলার রোড, মালিবাগ মোড়, ঢাকা। এপয়েন্টমেন্ট ও সিরিয়াল - 01558998823 ( সকাল ১০ টা হতে রাত ৯টা পর্যন্ত সিরিয়াল নেয়া হয়, প্রত্যেক চেম্বারের জন্য)
চেম্বার: 2 ডক্টর সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রোগী দেখবার সময়- বিকাল ৫.৩০টা- রাত ৮টা ( প্রতি সোমবার) For Appointment - 01558998823
সাদিয়া জাহান স্মৃতি |
বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায় |
কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস |
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট |
আপনি জানেন কী চার ধরণের ক্ষুধা আছে |