গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে জাম আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য ফল। কম-বেশি সবাই জাম খেতে পছন্দ করেন। সুস্বাদু ফল হিসেবে জাম পরিচিত হলেও পুষ্টিগুনের বিচারে এটি অতুলনীয়। সুস্থতায় জাম যেমন উপকারী তেমনি বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে জাম।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
গবেষণা থেকে দেখা যায়, জাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। এটি নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ ফল বলে রক্তে সুগার লেভেল নরমাল রাখে। এছাড়া বিভিন্ন স্টাডি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে জামে থাকা উচ্চ অ্যালকালয়েড কন্টেন্ট হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা হাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। জামের মতো জামের বীচিও অনেক উপকারী। জামের বীচির জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে পাশাপাশি জামের বীজ বা বীচি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
উচ্চরক্তচাপে ভুগছে এমন রোগীদের জন্য জাম একটি মহাষৌধ। জামে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম জামে প্রায় ৫৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় জাম। গবেষণা বলে জামে থাকা এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন অ্যান্থোসায়ানিন, গ্লুকোসাইড, ট্যানিনস, গারলিক এ্যাসিড এবং অন্যান্য উপাদান (ভিটামিন-সি বাদে), হাইপারটেনশনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ উপকারী।
লেখক
পুষ্টিবিদ মুনিয়া মৌরিন মুমু
নিউট্রিশনিস্ট, বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস (উত্তরা ব্রাঞ্চ)
এক্স-ডায়েটিশিয়ান, ভাইবস হেল্থ কেয়ার বাংলাদেশ এবং বেক্সিমকো ফার্মা ডায়েট কেয়ার ডিভিশন
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/NutritionistMonia