- আপেল:
আপেলে রয়েছে ফাইবার,ভিটামিন,মিনারেল,ফাইটোকেমিক্যালস ও এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের পুষ্টিসাধন ও রোগ প্রতিরোধ ও মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়ক। লো-ক্যালরি ডায়েট অনুসরণকারীদের জন্য এটি একটি ভাল ফল। তাই প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। - নাশপাতি:
নাশপাতিতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে যা রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সহায়ক। এছাড়াও এতে পটাশিয়াম থাকায় এটি রক্তের কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্টের উপকার করে। - কলা:
কলায় রয়েছে ভিটামিন বি-6 যা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এছাড়াও এতে পটাসিয়াম ও ফাইবার ও আয়রন রয়েছে যা পরোক্ষভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। - ব্লবেরিজঃ
এতে রয়েছে সর্বোচ্চ পরিমানে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে , হাইপারটেনশন কমায় ও মুটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। - স্ট্রবেরি:
স্ট্রবেরি adiponectin এবং leptin হরমোন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। এ হরমোন দুটি চর্বি কমাতে সহায়ক। এছাড়াও এটি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ক্ষতিগ্রস্থ টিস্যু নিরাময়ে সহায়ক। - গ্রেপফ্রট বা শরবতি লেবু বা জাম্বুরা জাতীয় ফল
এ জাতীয় ফলে প্রচুর আঁশ পাওয়া যায় এগুলোতে ক্যালরি থাকে অত্যন্ত কম। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে এ ফল কার্যকরী। - পীচফল বা জাম জাতীয় ফল:
এধরনের ফলে থাকে হার্টের জন্য উপকারী পটাসিয়াম এবং প্রচুর পরিমানে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা মেটাবলিজম বাড়ায়। - নারিকেল:
নারিকেলে রয়েছে ট্রাইগ্লিসারািইড যা লিভারের মেটাবলিজম 30% পর্যন্ত বাড়াতে পারে তাছাড়া এতে রয়েছে পটাশিয়াম এবং প্রচুর আঁশ।
- ডালিম বা ডালিম জাতীয় ফলঃ
ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট । এটি হার্টের ধমনীতে চর্বির স্তর প্রতিরোধ করে। - অরেঞ্জ বা কমলালেবু
কমলালেবু মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়ক । এতে আছে ভিটামিন সি,থায়ামিন , ফোলেট এবং প্রচুর আঁশ - আম :
আম মেটাবলিজম বাড়তে সহায়ক । আমে অন্যান্য ফলের চেয়ে ক্যালরি বেশি থাকরলও এতে আছে ভিটামিন সি,এ এবং ক্যালসিয়াম। - পেপে :
পেপে মেটাবলিজম বাড়তে সহায়ক । এতে আছে এন্ডি-অক্সিডেন্ট , ক্যারোটিন ,ভিটামিন সি ও ফ্লাভোনয়েডস। - আমড়া:
আমড়াতে আছে ভিটামিন সি,ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন প্রভৃতি। রক্তের কোলেস্টরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুকি কমায়। এটি বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে।
![]() |
রয়াল বাংলা ডেস্ক |
সেরা 13 টি ফল যা ওজন কমাতে সহায়ক |
খাদ্যাভ্যাস |

রয়াল বাংলা ডেস্ক
করোনা প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধকারী খাবার কোনগুলো?
রোগ প্রতিরোধ

পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
লকডাউনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে ভাল থাকবেন কিভাবে?(২য় পর্ব)
স্বাস্থ্য টিপস

পুষ্টিবিদ জয়তী মুখার্জী
আম খাবো নাকি খাবোনা?
আম

পুষ্টিবিদ মুনিয়া মৌরিন মুমু
ডায়াবেটিক এবং উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কি জাম খেতে পারবেন?
সুখাদ্য

পুষ্টিবিদ মুনিয়া মৌরিন মুমু
ডায়াবেটিক পেশেন্ট কি উপায়ে তরমুজ খাবেন
ডায়াবেটিক

ডা. মুহম্মদ মুহিদুল ইসলাম,সায়েন্টিফিক অফিসার
শীতে ফুসফুসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়
টিপস

ডাঃ ইকবাল আহমেদ,সহকারী অধ্যাপক,বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ
দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন অঙ্গ সংরক্ষন করে কিভাবে ডাক্তারের কাছে আনবেন
টিপস

ডাঃ ইকবাল আহমেদ,চীফ কনসালট্যান্ট , বাংলাদেশ কসমেটিক সার্জারি
চর্বি মুক্ত করে কি গরু-খাসির মাংস- খেয়ে কোলেস্টেরলমুক্ত থাকা যায়?
টিপস

পুষ্টিবিদ মোঃ ইকবাল হোসেন,পুষ্টি কর্মকর্তা
পুষ্টিতে ভরপুর আমড়া
পুষ্টি
-
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করাটাই এখন জরুরি বিষয়। কেননা করোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় এখনো কোন ওষুধ বা টিকা আবিষ্কৃত হয়নি,ফলে এক্ষেত্রে খাদ্যাভাসে কিছু খাবার যোগ করে নিজেকে করোনা ভাইরাস থেকে আমরা নিজেকে মুক্ত রাখতে পারি।
- কমলা লেবু বা কাগজি লেবু হালকা গরম লেবু পানি খুবই উপকারি। কমলা লেবুও ভিটামিন সি এর একটি কার্যকরী উৎস। ভিটামিন সি প্রায় প্রতিদিন গ্রহন করতে হয় কারণ এটি শরীরে জমা থাকে না।
- রসুন রসুন বাঙালি খাবারের একটি আবশ্যক অনুষঙ্গ । তাই আলাদাভাবে রসুন খাওয়ার প্রয়োজন নেই। রসুনে আছে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ঠান্ডা লাগা বা ভাইরাস সংক্রমন থেকে দূরে রাখে।
- টক দই টক দই শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়। খাবার শোষণের হার বাড়ায়। তাই টক দই একটি গুরুত্বপুর্ণ উপাদান।
- মধু অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মধুর উপকারিতার শেষ নেই। প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। তাছাড়া মধু ঠান্ডা লাগা থেকে দূরে রাখে। তবে মধু এক চামচের বেশী খাওয়া যাবে না।
- ডাল নিয়মিত মসুর ডাল খেলে হার্ট ভালো রাখে কারণ এতে থাকা উচ্চ ফাইবার অনেকাংশেই হার্টের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তে কললেস্টরোলের মাএা কমায়। ম্যাগনেশিয়ামের অনেক ভালো উৎস মসুরের ডাল যা রক্তের অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং ধমনী পরিষ্কার করে। মসুর ডাল ছাড়াও ছোলা ,অড়হর ,মুগ এসব ডালও উপকারী।
- মাছ মাছ একটি আদর্শ প্রোটিন। মাছ সহজ লভ্য এবং দামেও সস্তা। তাই মাছ সপ্তাহে কমপক্ষে তিনদিন খাওয়া যেতে পারে।
- মুরগীর মাংস মুরগীর মাংস একটি আদর্শ প্রোটিন। দেশী- বা বিদেশী যে মুরগীই হোক না কেন। সুষম খাবারে যে প্রোটিন প্রয়োজন তার একটি আদর্শ উৎস হচ্ছে মুরগীর মাংস। এছাড়া একটি বিষয়ে না বললেই নয় অনেকেই না জেনেই ব্রয়লার মুরগীর মাংসের ব্যাপারে গুজব ছড়াচ্ছেন যা কাম্য নয়।
- বাদাম বাদাম একটি আদর্শ ঝুকিহীন উদ্ভিজ্জ ফ্যাট। রোগ প্রতিরোধ করার জন্য এটি ভাল সহায়ক ফ্যাট।
- ডিম প্রতিদিন একটি করে ডিম ইমিউনিটি বাড়াতে এবং ধরে রাখতে খুবই কার্যকর। ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।
- দুধ দুধ ক্যালসিয়ামের সব চাইতে ভালো উৎস।গরম দুধ ক্লান্ত পেশি সতেজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া, দুধ খেলে শরীরে মেলটনিন ও ট্রাইপটোফ্যান হরমোন নিঃসৃত হয়, এই হরমোনগুলো ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে।
- সবুজ ও রঙিন শাক-সবজি সবুজ ও রঙিন শাক-সবজির কোন বিকল্প নেই। ভিটামিন এর প্রধান উৎস সবুজ শাক-সবজি। তাছাড়া সবজিতে থাকে প্রচুর আশ ও পানি যা শরীরের বিপাকতন্ত্র ক্রিয়াশীল রাখতে সহায়ক। আরও পড়ুন রোগ প্রতিরোধ করতে যে খাবারগুলো খাওয়া যেতে পারে ।
যেসব খাবারে নিম্নোক্ত উপাদান আছে সে খাবারগুলো গুরুত্বপুর্ণ
* ভিটামিন সি * এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট * প্রোটিন * পানি * খনিজ সহজ ভাষায় বললে সুষম খাবার গ্রহনই বাড়াতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা । আসুন দেখা যাক সুষম খাবার তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাবার -মৌসুমী ফল
যতটা সম্ভব মৌসুমী ফল অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ টি ফল রাখার অভ্যাস করুন। বিশেষ করে টক ফল যেমন – আমড়া, জাম্বুরা, লেবু এছাড়াও ভিটামিন-সি যুক্ত ফল যেমন- আমলকি, পেয়ারা ইত্যাদি। এছাড়াও আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল তো রয়েছেই। তবে ছোটো আম ২টির বেশি কোনো ভাবেই এখন খাবেন না। বেশি আম ওজন বৃদ্ধি করে।
সবুজ শাকসবজি
সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলস ইত্যাদি থাকে। এ সমস্ত শাকসবজি শরীরের গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই রোজ দুপুরের খাবারে এক বাটি করে মিক্স সবজি খান। বিশেষ করে যেসব খাবারে প্রোটিন ও ফাইবার দুই রয়েছে সেগুলি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই দুপুর এবং রাতের খাবারে নিয়মিত রাখতে পারেন ব্রকলি, কচুশাক, মিষ্টি আলুর শাক, কলমি শাক, পুদিনা পাতা, পুঁইশাক, মুলা শাক, ডাঁটা শাক, লাউ ও মিষ্টি কুমড়ার আগা-ডোগা শাক, সাজনা, কলার মোচা, ঢেঁড়স, ডাঁটা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি, গাজর, শিম, পটল, কচু, বেগুন, বরবটি ও মটরশুঁটি ইত্যাদি।
কার্বোহাইড্রেট কম, প্রোটিন বেশি
যদি আপনি ওজন হ্রাস করার দিকে মনোনিবেশ করে থাকেন তবে ভাল কার্বস এবং খারাপ কার্বসের মধ্যে পার্থক্য করতে সক্ষম হওয়া জরুরী। সাদা রুটি, সিরিয়াল, পাস্তা এবং ডোনাট এবং কেকের মতো চিনির জিনিস আপনার ওজন বৃদ্ধি করে, জটিল কার্বোহাইড্রেট বা পুরো গমের তৈরী খাবারগুলি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পাশাপাশি মাছ, ডিম, মুরগী রাখতে হবে।মাছের তেলে থাকে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং মাছে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল যা শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে দেয় না এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। মুরগিতে থাকা ভিটামিন-বি৬ শরীরে বিপাকের মাত্রা উন্নত করে, খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে।

আপেল
কথায় বলে,‘একটা করে আপেল খান, আর ডাক্তারের ঠিকানা ভুলে যান!’ আপেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা খিদের মাত্রাকে কমায় এবং জমে থাকা ফ্যাট দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপেল ভিটামিন এবং মিনারেল যুক্ত হওয়ায় ওজন কমাতে দ্রুতো কাজ করে। তাই রোজ একটি করে আপেল খেতে পারেন তবে মিষ্টি লাল আপেল নয়, সবুজ একটু টক আপেল।
অ্যাভোকাডো
এই ফলটা একটু দামি ঠিকই। কিন্তু নিয়মিত যদি খেতে পারেন, তাহলে যে উপকার পাবেই পাবেন, সেকথা হলফ করে বলতে পারি। আসলে অ্যাভোকাডোতে ফাইবারের পাশাপাশি রয়েছে monounsaturated oleic acid নামক উপকারী ফ্যাট, যা ভুঁড়ি কামতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
দই
হজম ক্ষমতা বাড়লেও কিন্তু ওজন কমে। তাই তো নিয়মিত দই খাওয়া উচিত। কারণ, এতে উপস্থিত উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলি হজম ক্ষমতাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে প্রদাহের মাত্রাও কমে। ফলে মেদ ঝরতে সময় লাগে না। তাই মাস খানেকের মধ্যে যদি ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকে, তাহলে প্রতিদিন লাঞ্চের শেষে এক বাটি করে টক দই খেতে ভুলবেন না যেন!
ডিম
ঝটপট ওজন কমাতে চান তো কাল ব্রেকফাস্টে সিদ্ধ ডিম খাওয়া শুরু করেন। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা বহুক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে মুখ চালানোর ইচ্ছা আর থাকে না। তাই শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরির প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে পারে। সপ্তাহে ৪দিন কুসুম ছাড়া ও বাকি ৩ দিন কুসুম সহ ডিম খেতেই পারেন।
কলা
ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকলে তাহলে ব্রেকফাস্টে নিয়ম করে খান দুয়েক কলা খাওয়া উচিত। ভাবছেন, তাতে কী লাভ হবে? তাহলে জেনে রাখা ভাল যে এই ফলটি পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে ঠাসা, যা হজমে সহায়ক উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে সাহায্য করে। ফলে মেটাবলিজম রেট এতটাই বেড়ে যায় যে দ্রুত মেদ ঝরতে শুরু করে। তবে টক মিষ্টি যে কলা রয়েছে যেমন – চম্পা কলা, এমন কলা খেতে হবে। আর একটি প্যাকেজ হতে পারে, টকদই-চিড়া-কলা যা রাতে অনায়েশে আপনার চমৎকার খাবার হতে পারে।
লেখক
পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
কনসালটেন্ট ডায়েটিশিয়ান
ইবনেসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/DietitianMunira
আম, অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুস্বাদু একটি ফল। স্বাদে, গন্ধে, বর্ণে ও পুষ্টিমানে আমের বিকল্প শুধু আম; তাই আমকে বলা হয় ফলের রাজা। আম কাঁচা, পাকা এমনকি ফ্রোজেন অবস্থায়ও খাওয়া হয়।
প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে আম থেকে আমসত্ত্ব, জুস, পিউরি, আচার, চাটনি এসবও তৈরি করা যায়। ফল হিসেবে খাওয়ার পাশাপাশি আইসক্রিম, বেকারি পণ্য ও কনফেকশনারিতে ও পাকা আম ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আসুন জেনে নেই আমের পুস্টি গুন সম্পর্কে
প্রতি ১০০ গ্রাম আম থেকে আমরা পাই -
*ক্যালরি-৬০
*কার্বোহাইড্রেট-১৫ গ্রাম
*প্রোটিন-০.৮ গ্রাম
*ফাইবার (আঁশ)-১.৬০ গ্রাম
*পটিসিয়াম - ১৬৮ মিলি গ্রাম
*ফলের চিনি - ১৪ গ্রাম
এছাড়াও আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, প্রো ভিটামিন এ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন ও বিভিন্ন প্রকার পলিফেনল থাকে।

আম কেন খাবেন?
????????আমে উপস্থিত ভিটামিন এ, সি, ফোলেট, কে এবং বেশ কয়েকটি বি ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাডায়।
????????আমের পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট এর সাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
????????আমে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি, পেকটিন, পটাশিয়াম ও ফাইবার রয়েছে যা কোলেস্টরেলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
????????আমের ফাইবার ও পানি কোষ্টকাঠিন্য,ডায়রিয়া সহ পরিপাকতন্ত্রের অনেক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে।
????????আমে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে যা রাতকানা সহ চোখের ড্রাইনেস রোধ করতে সাহায্য করে।
????????ত্বক ও চুলের যত্নে আম বেশ উপকারী।
কতোটুকু পরিমানে আম খাবেন?
এতো যেহেতু গুণ তাহলে পুষ্টিবিদরা কেন আম কম খেতে বা না খেতে বলে?
- ডায়েবেটিস রোগীরা বেশি আম খেলে তাদের রক্তের গ্লুকোজ হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেতে পারে।
- প্রচুর আঁশ থাকার কারণে পরিমানে বেশি খেলে অনেক সময় ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
- আমে রয়েছে ফলের চিনি ফ্রুকটোজ এবং ক্যালরী যা ওজন বৃদ্ধি করার জন্য দ্বায়ী।
আমের সুফল গুলো পেতে আপনার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে এবং ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ মেনে পরিমিত পরিমান আম খাওয়া উচিত, বিশেষ করে যারা ওভার ওয়েট।

ধন্যবাদ
পুষ্টিবিদ জয়তী মুখার্জী
ডায়েট এন্ড নিউট্রিশন কনসালটেন্ট শিওরসেল মেডিকেল এক্স নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ভি.এল.সি.সি & ভাইবস হেলথ কেয়ার এম.এস.সি এন্ড বি.এস.সি ( খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ) ডি.ইউ ট্রেইন্ড ইন সি.এন.ডি (বারডেম)
চেম্বার -surecell medical Gulshan 1, Dhaka
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/Nutritionist.Jayoti
গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে জাম আমাদের দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য ফল। কম-বেশি সবাই জাম খেতে পছন্দ করেন। সুস্বাদু ফল হিসেবে জাম পরিচিত হলেও পুষ্টিগুনের বিচারে এটি অতুলনীয়। সুস্থতায় জাম যেমন উপকারী তেমনি বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে জাম।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
গবেষণা থেকে দেখা যায়, জাম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। এটি নিম্ন গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ ফল বলে রক্তে সুগার লেভেল নরমাল রাখে। এছাড়া বিভিন্ন স্টাডি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে জামে থাকা উচ্চ অ্যালকালয়েড কন্টেন্ট হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা হাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। জামের মতো জামের বীচিও অনেক উপকারী। জামের বীচির জাম্বোলাইন ও জাম্বোসাইন নামক পদার্থ রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে পাশাপাশি জামের বীজ বা বীচি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
উচ্চরক্তচাপে ভুগছে এমন রোগীদের জন্য জাম একটি মহাষৌধ। জামে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম জামে প্রায় ৫৫ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় জাম। গবেষণা বলে জামে থাকা এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন অ্যান্থোসায়ানিন, গ্লুকোসাইড, ট্যানিনস, গারলিক এ্যাসিড এবং অন্যান্য উপাদান (ভিটামিন-সি বাদে), হাইপারটেনশনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ উপকারী।
লেখক
পুষ্টিবিদ মুনিয়া মৌরিন মুমু
নিউট্রিশনিস্ট, বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস (উত্তরা ব্রাঞ্চ)
এক্স-ডায়েটিশিয়ান, ভাইবস হেল্থ কেয়ার বাংলাদেশ এবং বেক্সিমকো ফার্মা ডায়েট কেয়ার ডিভিশন
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/NutritionistMonia
ঋতু হিসেবে গ্রীষ্মকাল অনেকের পছন্দের তালিকায় থাকে। গ্রীষ্মকালের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি চমৎকার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই মৌসুমে পুষ্টিগুণে ভরপুর সব মুখরোচক ফল উপভোগের সুযোগ পাওয়া যায়।আমাদের দেশে এই সময়টিতে প্রায় সবধরনের রসালো ফলই পাওয়া যায়, তেমন একটি জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য ফল হচ্ছে তরমুজ।
পানি জাতীয় ফলের মধ্যে অন্যতম প্রধান ফল তরমুজ। গরমের এই মৌসুমে রমজান মাসে পানিশূন্যতা রোধে তরমুজ অত্যন্ত কার্যকর। এতে রয়েছে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি,ভিটামিন-বি ও ভিটামিন বি-২। সুতরাং প্রয়োজনীয় ভিটামিন গুলি আমরা তরমুজ থেকে পেয়ে যাই সহজেই। এছাড়াও তরমুজে রয়েছে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। ক্যালরির হিসাবে এক কাপ তরমুজ থেকে পাওয়া যায় মাত্র ৪৬ ক্যালরি।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তরমুজ খেতে পারবেন কিনা এই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন৷ বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে তরমুজ ডায়াবেটিক পেশেন্টদের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়েছে। তবে তরমুজে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি ফ্রুক্টোজ রয়েছে বলে পরিমাণের দিকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) বেশি, প্রয়োজনের তুলনায় তরমুজ বেশি গ্রহণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে তরমুজ সতর্কতার সঙ্গে খাওয়া উচিত। আপনার দৈনিক ডায়েটে অন্য শর্করা জাতীয় খাবার কি পরিমাণে আছে, আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা এসব শর্ত বিবেচনায় একজন পুষ্টিবিদ পরামর্শ দিবেন আপনি কি পরিমানে তরমুজ খেতে পারবেন। তরমুজ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর জন্য অবশ্যই একটি পুষ্টিকর ফল তবে পরিমাণের দিকে নজর না দিলেই কিন্তু নয়।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/NutritionistMonia
লেখিকা
পুষ্টিবিদ মুনিয়া মৌরিন মুমু
নিউট্রিশনিস্ট, বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস (উত্তরা ব্রাঞ্চ)
এক্স-ডায়েটিশিয়ান, ভাইবস হেল্থ কেয়ার বাংলাদেশ এবং বেক্সিমকো ফার্মা ডায়েট কেয়ার ডিভিশন
বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস (উত্তরা ক্লিনিক)
ঠিকানা- উত্তরায়ণ টাওয়ার (লেভেল ৫), ১৬ সোনারগাঁও জনপথ, সেক্টর ৯, উত্তরা।
রোগী দেখার সময় - সকাল ১১ - বিকাল ৫ (রবি- শুক্রবার)
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/NutritionistMonia
শীতের সময় অনেকে আবার ফুসফুসের সংক্রমণের সমস্যায় ভোগেন।
ফুসফুসের সংক্রমণকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়।
আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক সংক্রমণ, যা সাধারণত ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। আর লোয়ার রেসপিরেটরি ট্র্যাক সংক্রমণ যা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। তবে ভাইরাল নিউমোনিয়াও হতে পারে।
জ্বর, কাশি, কফ, শরীর ব্যথা ও বমি বমি ভাব হ’ল ফুসফুস সংক্রমণের লক্ষণ। তবে ভাইরাল নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে সর্দি-হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়ার লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
সাধারণত শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এগুলো বেশী দেখা যায়।
শীতে এসব রোগের হাত থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
শীতে ফুসফুস সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয়
1. ভিটামিন 'সি' জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত ,এটি ঠান্ডা লাগার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে ।
2. কাঁচা রসূন খাওয়া উচিত এটি ঠান্ডা লাগা কমায় ।
3. বেশি করে আদা ও লবঙ্গ চা খেতে হবে,এটি বেশ কার্যকরী
4. ঠান্ডা লাগলে গরম পানিতে ফিটকিরি দিয়ে গরম ভাব নিতে হবে ,এতে নাক বন্ধ হওয়া কমে যায়
লেখক
ডা. মুহম্মদ মুহিদুল ইসলাম
সায়েন্টিফিক অফিসার
বিআইএইচএস হসপিটাল কোভিড-১৯ ল্যাব, ঢাকা
অনলাইন কনসালট্যান্ট ,বায়োমেড ডায়াগনস্টিক এন্ড রিসার্চ ল্যাবরেটরি
চিকিৎসা পরামর্শ নিতে এপয়েন্টমেন্ট নিন:
০১৬৮১২৫৬৩৩১
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/DrMuhid
কোরবানির ঈদে অনেক অপেশাদার সাধারন মানুষ পশুর মাংস প্রস্তুতে নিযুক্ত হন।কাটাকাটির অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হন।বিশেষ করে ভারি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সজোড়ে হাড় কাটার সময় কারো পুরো আঙ্গুল হয়ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।কোরবানির ঈদে এই ঘটনা বিরল নয়।প্রতি বছর ই বড় ঈদে দেশের প্লাস্টিক সার্জনদের কাছে এমন অনেক কেস আসে।কিন্তু সঠিক সময়ে পৌঁছাতে না পারায় এবং সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষন করে না আনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাংখিত ফলাফল দেয়া সম্ভব হয় না।
শুধু কোরবানির কাটাকাটি ছাড়া ও মারামারি বা রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্টে ও কারো অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। বিচ্ছিন্ন অঙ্গ কেউ পুণঃসংযোজন করতে চাইলে আসতে হবে মাইক্রোসার্জারিতে পারদর্শী একজন প্লাস্টিক সার্জনের কাছে।আমরা সাধারন মানুষ বিচ্ছিন্ন অঙ্গের সংরক্ষন পদ্ধতি জানিনা এবং কত সময়ের মধ্যে আসতে হবে তাও জানিনা।
বিচ্ছিন অঙ্গটি (আঙ্গুল,হাত বা পা) প্রথমেই নরমাল স্যালাইন দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।নরমাল স্যালাইন পাওয়া না গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে খুব দ্রুত পরিষ্কার করে নিলেও চলবে।তারপর একটি পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে।শুকনো অঙ্গটি একটি পরিষ্কার পলিথিনে ভরে পলিথিনের মুখ ভালভাবে আটকে নিতে হবে।অতপর একটি আইস বক্সে বরফ দিয়ে সেখানে পলিথিনে ভরা অঙ্গটি সংরক্ষন করতে হবে।যদি আইস বক্স না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে অন্য একটি পলিথিনে বরফ নিয়ে তার ভিতর পলিথিনে মোড়ানো অঙ্গটি সংরক্ষন করা যাবে।
বরফ দেয়ার উদ্দেশ্য হল দীর্ঘ সময় যেন সতেজ থাকে অঙ্গটি।তাই পরিবহনের সময় প্রয়োজনে মাঝপথে বরফ সংযোজন করা যাবে।
অঙ্গহানির ৬ ঘন্টার মধ্যে নির্দিষ্ট হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে।এই ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।তাই সবচে ভাল হয় যদি রওয়ানা দেয়ার পুর্বেই মাইক্রোসার্জারিতে অভিজ্ঞ একজন প্লাস্টিক সার্জনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে রওয়ানা দেয়া যায়,যাতে সেই সময়ের মধ্যে সার্জন তার টিম ও অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত করে ফেলতে পারে।
এই সার্জারি মাইক্রোস্কোপ এর নীচে করা হয় অথবা সার্জন একটি মাইক্রোস্কোপ সংবলিত বিশেষ চশমা পরিধান করেন যাকে লুপ বলা হয়।বিচ্ছিন্ন অঙ্গ সাধারন ভাবে পুর্বের যায়গায় সেলাই করে সংযোজন করে দিলে কোনভাবেই টিকবেনা।রক্তনালীর সংযোজন যা এই সার্জারির সবচে চ্যালেঞ্জিং পার্ট। এছাড়া ও স্নায়ু, মাংশপেশীর টেন্ডন এই সব ই জোড়া লাগাতে হয়।
লেখকডাঃ ইকবাল আহমেদ
প্লাস্টিক ও এস্থেটিক সার্জন
সহকারী অধ্যাপক,
বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চেম্বার :
বাংলাদেশ কসমেটিক সার্জারি , বাড়ি ৮, রোড
১৪, ধানমণ্ডি (সোবহানবাগ মসজিদের গলিতে), ঢাকা।
এপয়েন্টমেন্ট
০১৭৬৬৯৩৫২৫৪,০১৩১৪০৯৯৯২২
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/dr.iqbalahmed
অনেকেই কোলেস্টেরলের ভয়ে গরু বা খাসির মাংস স্পর্শ ও করেন না। তাদের কাছে হয়ত এই মেনুটি অত্যন্ত প্রিয়,কিন্তু বিধিবাম- প্রেসার,হৃদরোগ,পুর্বে স্ট্রোক করেছেন।ডাক্তারের কঠিণ নিষেধ।উল্লেখিত রুগীদের জন্য সুখবর হল তারা এসব খাবার খেতে পারবেন,এবং পর্যাপ্ত পরিমাণেই খেতে পারবেন যদি মাংস রান্নায় নিম্নোক্ত সহজ নিয়মটি পালন করেন-
১.রান্নার পুর্বে মাংসে লেগে থাকা দৃশ্যমান সব চর্বি ফেলে দিন।(কোরবানীর ক্ষেত্রে গরীবদের দিয়ে দিন)
২.ছোট ছোট টুকরা করে মাংস রান্না করুন।
৩.মাংস রান্না হয়ে গেলে শীতল হওয়ার পর জমাট বাঁধা সমস্ত হলুদ ফ্যাট ফেলে দিন।
৪.পুনরায় গরম করে শীতল হওয়ার পর এক ই ভাবে হলুদ ফ্যাট ফেলে দিন।
তৈরি হয়ে গেল কাংখিত কোলেস্টেরল মুক্ত খাবার উপযোগী মাংস।এভাবে প্রস্তুত কৃত মাংসে কোলেস্টেরল অধিকাংশই কমে গিয়ে গ্রহনযোগ্য মাত্রায় চলে আসে।এতে আমিষের আধিক্য থাকে যা কিনা প্রেসার, ডায়াবেটিস ও হৃদরুগিদের জন্য বরং কাংখিত খাবার।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/dr.iqbalahmed
লেখক
ডাঃ ইকবাল আহমেদ
প্লাস্টিক এন্ড এস্থেটিক সার্জন
চীফ কনসালট্যান্ট , বাংলাদেশ কসমেটিক সার্জারি
চেম্বার :
বাংলাদেশ কসমেটিক সার্জারি , বাড়ি ৮, রোড
১৪, ধানমণ্ডি (সোবহানবাগ মসজিদের গলিতে), ঢাকা।
এপয়েন্টমেন্ট
০১৭৬৬৯৩৫২৫৪,০১৩১৪০৯৯৯২২
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/dr.iqbalahmed
আমড়া Spondias প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। একে গোল্ডেন অ্যাপেলও বলা হয়। এটি ল্যাটিন আমেরিকার স্থানীয় ফল হলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে বেশি খাওয়া হয়। পুষ্টিতে ভরপুর আমড়া আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় ফল। গরমের সময়ে রাস্তার ফল বিক্রেতাদের ভ্যানে ফুলের মত করে কেটে সাজিয়ে রাখা আমড়া দেখে শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কারোরই জিভে জল আসে। আমড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারে সমৃদ্ধ থাকে এবং এর ক্যালরি খুব কম থাকে। আমড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়ে জেনে নিই চলুন।
১। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ
আমড়া ভিটামিন সি এ সমৃদ্ধ যা একটি অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন ও প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই আমড়ার ভিটামিন সি ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে শরীরকে। ১০০গ্রাম আমড়ায় ৪৬.৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি থাকে।
দৈনিক ভিটামিন সি এর চাহিদার ৩৯%-৪৯% পূরণ হয় একটি আমড়া খেলে। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং কোলাজেনের উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন স্কিন, লিগামেন্ট, টেন্ডন ও কার্টিলেজকে স্বাস্থ্যবান রাখতে সাহায্য করে।
২। আয়রন সমৃদ্ধ
১০০ গ্রাম আমড়ায় ২.৮ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। দৈনিক আয়রনের চাহিদার ১৫.৫%-৩৫% পূরণ হয় ১০০ গ্রাম আমড়া খেলে। শরীরের সার্বিক কাজ ঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য আয়রন প্রয়োজন। সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে হিমোগ্লোবিন ও মায়োগ্লোবিন। আর এই হিমোগ্লোবিন ও মায়োগ্লোবিন এর উৎপাদনে সাহায্য করে আয়রন। হিমোগ্লোবিন থাকে লাল রক্ত কণিকায়। তাই আয়রন জাতীয় খাবার বেশি খেলে লাল রক্ত কণিকার উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। অ্যানেমিয়া দূর করতে আমড়া খান।
৩। হৃদরোগ প্রতিহত করে
২০১০ সালে আমড়ার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ও কার্যকারিতা নিয়ে “কার্ডিওভাস্কুলার টক্সিকোলজি” এর করা সমীক্ষায় গবেষকেরা জানান যে, আমড়ায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যাকে তারা হার্টের ঔষধ রেমিপ্রিল এর সাথে তুলনা করেন। গবেষণায় তারা দেখেন যে, আমড়া সার্বিক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং এজন্যই হার্টের উপর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রভাবের সাথে রেমিপ্রিল এর প্রভাবের তুলনা করেন। তাই বলা যায় আমড়া খাওয়া সার্বিক হৃদস্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী।
১০০ গ্রাম আমড়ায় ২৯ ক্যালরি থাকে। তাই ওজন কমতে সাহায্য করে আমড়া। মাড়ি ও দাঁতের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে আমড়া। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা খাদ্যআঁশ থাকে বলে বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে আমড়া। ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে আমড়া ফল।
ফ্লু, ঠান্ডা ও কাশি নিরাময়েও দারুণ কার্যকরী আমড়া। আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমড়া। আমড়ায় ক্যালসিয়াম থাকে বলে হাড়ের রোগ ও পেশীর খিঁচুনি প্রতিরোধেও সাহায্য করে আমড়া। কাঁচা আমড়া টক বা টক-মিষ্টি স্বাদের হয়। পাকা আমড়া মিষ্টি স্বাদের হয়। আমড়া ফল কাঁচা বা পাকা খাওয়া যায় আবার রান্না করে বা আচার বানিয়েও খাওয়া যায়।
এই লেখকের সব লেখা পড়ুন নিচের লিংক থেকে।
www.royalbangla.com/Nutritionist.Iqbal
লেখক
পুষ্টিবিদ মোঃ ইকবাল হোসেন
বিএসসি (সম্মান), এমএসসি (প্রথম শ্রেণী) (ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি)
পুষ্টি কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
জাকির হোসেন রোড, খুলশি।
চট্টগ্রাম।
চেম্বারঃ
সার্জিস্কোপ হাসপাতাল, ইউনিট-২, কাতালগঞ্জ, চট্টগ্রাম।
প্রতিদিন সন্ধ্যা ৫ঃ৩০-৮ঃ০০ টা
চেম্বারঃ
হাটহাজারী ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।
প্রতি বুধবার বিকাল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত।
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/Nutritionist.Iqbal
- royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট |
খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা |