Royalbangla
ডাঃ হাসনা হোসেন আখী
ডাঃ হাসনা হোসেন আখী

শরীরে অক্সিজেন কমে গেলে বুঝবেন যেভাবে

টিপস

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী বাড়িতে থাকুক বা হাসপাতালে, এ সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা। তার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বা ঘনত্ব কমে যাচ্ছে কি না, খেয়াল করা। সুস্থ মানুষের অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশের মধ্যে থাকে।

রক্তে অক্সিজেনের ঘনত্ব আর হৃদ্‌স্পন্দনের গতি পরিমাপ করা যায় যে যন্ত্রের মাধ্যমে, তার নাম পালস অক্সিমিটার। এই যন্ত্র না থাকলেও একটা ছোট পরীক্ষার মাধ্যমে ফুসফুসের অবস্থা বুঝে নেওয়া যায়।

- রোগীকে প্রথমে মুখ দিয়ে সজোরে বুকের ভেতরে থাকা বাতাস ছাড়তে হবে। তারপর ধীরে ধীরে গভীরভাবে নাক দিয়ে বাতাস টেনে শ্বাস ধরে রাখতে হবে। যদি ৭ সেকেন্ড এভাবে শ্বাস ধরে রাখতে সমস্যা হয়, তাহলে বুঝতে হবে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আর যদি ৫ সেকেন্ড পর্যন্ত শ্বাস ধরে রাখতে সমস্যা হয়, তাহলে বুঝতে হবে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশ।

Oxygen in Human Body

- করোনায় সংক্রমিত রোগীর জন্য দ্বিতীয় সপ্তাহটা গুরুত্বপূর্ণ। অনেকের এ সময় নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। কাশির পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। গভীর বা লম্বা শ্বাস নেওয়ার সময়ে বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভূত হতে পারে। এগুলো ফুসফুসে সংক্রমণজনিত প্রদাহের লক্ষণ।

অনেক সময় শুরুতে অক্সিজেনের ঘাটতি রোগী বুঝতে পারে না। দিব্যি সুস্থ–স্বাভাবিক মনে হয়। একে বলে ‘নীরব হাইপোক্সিয়া ’।

রক্তে অক্সিজেন কমে গেলে শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায় (প্রতি মিনিটে ২৪-এর বেশি)। হৃদ্স্পন্দনের গতি (প্রতি মিনিটে ১০০-এর বেশি) বেড়ে যায়, বুকে ব্যথা হয় ও নিশ্বাসে সমস্যা হয়। ফলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে, স্নায়ুতন্ত্র, এমনকি মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। এ সময় মাথা ঝিমঝিম করা, প্রচণ্ড দুর্বল লাগা, একটু পরিশ্রম বা হাঁটাহাটিতে সমস্যা হয়। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার লক্ষণ এগুলো।

অক্সিজেনের মাত্রা খুব বেশি কমে গেলে রোগীর ঠোঁট ও ত্বক নীল হয়ে যায়। এ সময় রোগীকে উপুড় করে শুইয়ে দিয়ে জোরে জোরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে বলতে হবে। এতে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়। কারণ, এর ফলে ফুসফুসের একটা বড় অংশে সহজে বাতাস যায় এবং রক্ত সহজে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। দ্রুত হাসপাতালে বা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

ডাঃ হাসনা হোসেন আখী
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এমএস (অবস এন্ড গাইনী)
ট্রেইন্ড ইন ল্যাপারস্কপি এন্ড ইনফার্টিলিটি স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি বিদ্যা বিশেষজ্ঞা এবং ল্যাপারস্কপিক সার্জন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
নিয়মিত রোগী দেখছেন: মার্কস কনসালটেশন সেন্টার।
প্রতিদিন : বিকেল ৫ টা হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত।
সিরিয়াল : 01729-269437.
সিরাজ মার্কেট (২য় তলা), কচুক্ষেত, ঢাকা-১২০৬। (ফুট ওভার ব্রিজের পাশে)
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
www.facebook.com/dr.hasnahossain

  1. royalbangla.com এ আপনার লেখা বা মতামত বা পরামর্শ পাঠাতে পারেন এই এ‌্যড্রেসে [email protected]
পরবর্তী পোস্ট

এক থালা বাঙালিয়ানা। আহা অমৃত


.

করোনা প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধকারী খাবার কোনগুলো?


রয়াল বাংলা ডেস্ক
.

করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভঃ করোনা ভাইরাস বা কভিড 19 প্রসঙ্গে যেসব কথা আমাদের সবার জানা প্রয়োজন


ডায়েটিশিয়ান ফারজানা
.

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কি খাওয়া উচিত?


পুষ্টিবিদ জয়তী মুখার্জী
.

করোনার ২য় ঢেউ মোকাবিলা করবেন কিভাবে ?


ডায়েটিশিয়ান ফারজানা
.

করোনার নতুন করে সংক্রমনে: প্রয়োজন রোগ প্রতিরোধী খাবারের তালিকা ও লাইফস্টাইল


পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
.

লকডাউনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে ভাল থাকবেন কিভাবে?(১ম পর্ব)


Dietitian Shirajam Munira
.

লকডাউনে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখে ভাল থাকবেন কিভাবে?(২য় পর্ব)


পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
.

করোনা মহামারি: দীর্ঘ মেয়াদে যা করতে হবে


নুসরাত জাহান,ডায়েট কনসালটেন্ট
.

করোনায় ওজন নিয়ে আর নাই চিন্তা (শেষ পর্ব)


পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা
.

করোনা প্রতিরোধে সুখবর আনলো ভিটামিন ডি


নিউট্রিশনিস্ট সুমাইয়া সিরাজী

আপনি জানেন কি? শারীরিক পরিশ্রমে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে?

ডা. মোহাম্মদ মাসুমুল হক,আবাসিক চিকিৎসক, ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোম
প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩০-৬০ মিনিট করে, সপ্তাহে ০৫ দিন (মোট ১৫০-৩০০ মিনিট) এমন কিছু কায়িক পরিশ্রম, যাতে হৃদ স্পন্দন বৃদ্ধি পায় ও ঘাম হয়। .........
বিস্তারিত

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কেন শারীরিক পরিশ্রম করবেন?

ডা. মোহাম্মদ মাসুমুল হক,আবাসিক চিকিৎসক, ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোম
প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩০-৬০ মিনিট করে, সপ্তাহে ০৫ দিন (মোট ১৫০-৩০০ মিনিট) এমন কিছু কায়িক পরিশ্রম, যাতে হৃদ স্পন্দন বৃদ্ধি পায় ও ঘাম হয়। ........
বিস্তারিত

ফেসলিফট

ডাঃ ইকবাল আহমেদ,সহকারী অধ্যাপক,বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ
ফেসলিফট এই শব্দটার সাথে অনেকেই পরিচিত। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন সময় ফেসলিফটের নানা ধরনের বিজ্ঞাপন দেখা যায়। এটা দেখে অনেকেই বুঝতে পারে না ব্যাপারটা কি।.......
বিস্তারিত

তীব্র এংজাইটি বা প্যানিকের সাইকোলজিক্যাল ব্যাখ্যা ও চিকিৎসা।

জিয়ানুর কবির,ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিষ্ট
নির্দিষ্ট বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উদ্দিপনা ট্রিগার করে ফলে ব্যক্তির মধ্যে বিপদ, ব্যাথা বা শারীরিক সমস্যার হুমকি অনুভব হয় (আমার ক্ষতি হবে, শারীরিক অসুস্থ হয়ে যাব......
বিস্তারিত