গর্ভাবস্থায় অপুষ্টি শিশুর ব্রেইনের বিকাশে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা শিশুর স্মৃতিশক্তি, শেখার গতি ও আইকিউ-তে প্রভাব ফেলতে পারে।
শিশুর ব্রেইনের গঠন শুরু হয় প্রেগন্যান্সির একেবারে শুরুতেই। কনসিভ করার মাত্র ৬ সপ্তাহের মধ্যেই ভ্রূণের ব্রেইন ও নার্ভ তৈরি হতে শুরু করে। তবে জটিল অংশগুলো যেমন স্মৃতি, শেখার ক্ষমতা, আবেগ নিয়ন্ত্রণ- এগুলো গঠিত হয় গর্ভাবস্থার শেষ পর্যন্ত এবং জন্মের পরেও তা বৃদ্ধি পেতে থাকে, যা প্রায় ২৫ বছর পর্যন্ত চলতে পারে।
প্রেগন্যান্সির থার্ড ট্রাইমেস্টারে (৭ম থেকে ৯ম মাস) শিশুর ব্রেইনের বিকাশ সবচেয়ে দ্রুত হয়। গর্ভাবস্থার শেষ দিকে এসে শিশু শব্দ শুনতে পারে, আলো বুঝতে পারে এবং বাইরের উত্তেজনায় প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই পর্যায়ে তার ব্রেইন জন্মের পর শেখার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।
আমরা শিশুর আইকিউ নিয়ে চিন্তিত থাকি। কিন্তু এটা অনেকটাই নির্ভর করে গর্ভাবস্থায় মায়ের খাবার, পুষ্টি ও জীবনযাপনের উপর।
আমাদের দেশে অধিকাংশ গর্ভবতী মা নিজের ওজন তো বাড়িয়ে চলে, কিন্তু নিজের ও গর্ভস্থ সন্তানের জন্য সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু জীবনের যেকোনো পর্যায়ের চেয়ে এসময় পুষ্টি চাহিদা অনেক বেশি থাকে।
প্রেগন্যান্সিতে ব্লাড সুগার ব্যালেন্সে রাখতে, ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখতে, ওজনটা ঠিক রাখতে, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করতে, গর্ভের সন্তানের গ্রোথ ঠিক রাখতে সঠিক ডায়েট ও নিউট্রিশন প্ল্যান এর বিকল্প নেই।
শুধুমাত্র গাইনোকোলজিস্ট দেখিয়ে ঔষধ খাওয়াই প্রেগন্যান্সিতে যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি এখন থেকে খাবার ও লাইফস্টাইল এর দিকে বিশেষভাবে নজর দিন, কারন আপনার প্রতিটা খাবারই তৈরী করছে আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের ভীত।
লেখক
ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট মালিহা জান্নাত
স্পেশালি ট্রেইনড ইন ওয়েট ম্যানেজমেন্ট
বিএসসি, এমএসসি (ফুড এন্ড নিউট্রিশন)
এমপিএইচ (পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন)
সিএনডি (বারডেম)
পিজিটি, সিসিএনডি (বিএডিএন)
লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে নিচের ফেসবুক পেইজে ক্লিক করুন
Nutritionist Maliha Zannat
অথবা WhatsApp করুন 01615-569556





























